সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন প্রাইজবন্ডের ১২১তম ড্র: প্রথম পুরস্কার জিতেছেন ০১০৮৩৩১ নম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত: পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের বোর্ড বাতিলের কারণে গ্রাহকদের সেবা অব্যাহত থাকবে পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করল ডিএসই ও চিটস্টক দুর্বল ৫ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রগতির মাইলফলক: মির্জা ফখরুল নাহিদ ইসলাম: জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকবে না মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: সরকার নির্বাচন ব্যাহত করতে নিজেই পরিস্থিতি তৈরি করছে বিএনপি গণভোটে আলোচনা করতে রাজি নয়, জামায়াতের হামিদুর রহমানের দাবি জনমত গঠনে রাজপথে জামায়াত: হামিদুর রহমান
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সারাদেশের উপজেলাগুলোতেও পাঠানো নির্দেশনা ঘোষণা

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সারাদেশের উপজেলাগুলোতেও পাঠানো নির্দেশনা ঘোষণা

অ্যান্টিভেনমের স্বল্পতা দূর করতে দেশের সব উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে। বিশেষ করে, প্রত্যেক উপজেলা সদরে কমপক্ষে দুটি ফার্মেসিতে এই অ্যান্টিভেনম রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়, যেখানে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা तक অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে আজ শনিবার, ৮ নভেম্বর, এই ব্যাপারে স্বয়ং আইনজীবী অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরন্নবী নিশ্চিত করেছেন।

প্রথমে, গত ১৭ আগস্টের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়, যা মূলত হাইকোর্টের একটি রিটের শুনানি চলাকালে আসে। এই রিটের মাধ্যমে জনস্বার্থে সারাদেশে সাপের কামড়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানানো হয়। এরপর, ১৮ আগস্টের মধ্যে, বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরন্নবী এই রিটের পক্ষে শুনানি করেন, সহায়তায় ছিলেন অ্যাডভোকেট ইসমাঈল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। রিটটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সারা দেশে সাপের কামড়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৬১০ জন। রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন, যেখানে বলা হয়, বিষধর সাপের মধ্যে রাসেলস ভাইপার ও চন্দ্রবোড়া বেশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই সময়ে মোট ৪১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বিষধর সাপে দংশিত ৯১ জন, আর চন্দ্রবোড়ার দংশন হয়েছে ১৮ জন। এই দংশনে মারা গেছেন ১১ জন, তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে চন্দ্রবোড়ার কারণে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রাসেলস ভাইপার ও অন্যান্য বিষাক্ত সাপের কারণে জনসচেতনতা ও আতঙ্ক বাড়ছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয় এবং এর জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নানা পদক্ষেপ গ্ৰহণ অব্যাহত রয়েছে। ২০২২ সালের জরিপে দেখা গেছে, একশো ট্রাকে সাড়ে সাত হাজার মানুষ সাপের দংশনে মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষ করে, চন্দ্রবোড়া ভাইপার ও অন্যান্য বিষধর সাপের বিষ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত চন্দ্রবোড়ার দংশনের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম তৈরি হয় না, তবে ভারতের কাছ থেকে অ্যান্টিভেনম সংগ্রহ করে বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়। এ সব সাপে দংশনের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা বিষপ্রাপ্ত রোগীর জীবন রক্ষা করে। তবে, এর সংরক্ষণ, ক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট নীতিমালা বা কর্মসূচি নেই। তারপরও, অ্যান্টিভেনমের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে ধারনা করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd